সেন্টমার্টিনে জাহাজ বিকল, যাত্রীসহ ভেসে যাচ্ছিলো মিয়ানমার

নিজস্ব প্রতিবেদক •

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে টেকনাফ ফেরার পথে শতাধিক পর্যটক নিয়ে সাগরে বিকল হয়েছে ‘এসটি ভাষা শহীদ সালাম’ নামে পর্যটকবাহী জাহাজ।

রবিবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে সেন্টমার্টিন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। বিকল ইঞ্জিন ঠিক করার তালবাহানায় প্রায় তিন ঘণ্টা সাগরে পর্যটকদের ভাসমান রাখে জাহাজ সংশ্লিষ্টরা।

জাহাজটি ধীরে ধীরে মিয়ানমার জলসীমার দিকে ভেসে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কিত পর্যটকদের মাঝে কয়েকজন জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চান। পরে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় জাহাজ থেকে পর্যটকদের সন্ধ্যার দিকে কাঠের বোটে করে তীরে আনা হয়।

দ্বীপে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে যাওয়া টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজটি রবিবারই প্রথম আড়াই শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা শুরু করে। শতাধিক পর্যটক রাত্রিযাপনের জন্য থেকে গেলে বাকি শতাধিক যাত্রী নিয়ে টেকনাফ ফেরার পথে এ দুর্ভোগে পড়ে তারা।

ঢাকার গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যাওয়া আবদুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ নিয়ে একটি অকল্পনীয় অভিজ্ঞতা হয়েছে। দ্বীপ থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে জাহাজ নিয়ে বঙ্গোপসাগরে তিন ঘণ্টা ভাসমান থেকেছি। ৯৯৯-এর সহযোগিতা না পেলে হয়ত আমরা মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম করে সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হতাম। পর্যটন শিল্প বিকাশে সেন্টমার্টিন নৌ-পথে এমন লক্কড় ঝক্কর জাহাজ চলাচল বন্ধ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এসটি ভাষা শহীদ সালাম জাহাজের আবাসিক সুপারভাইজার (টেকনিশিয়ান) মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, ‘মেশিনের কোন বিশ্বাস নেই। এই ভালো তো এই খারাপ হতেই পারে। আমি অন্যদের নিয়ে ত্রুটি সারার চেষ্টার কমতি করিনি। কিন্তু শেষমেশ পারিনি।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, বিষয়টি জানার পর নৌবাহিনী-পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে জাহাজ থেকে পর্যটকদের তীরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন।